দাউদকান্দিতে নানা কৌশলে পুনরায় সক্রিয় হচ্ছে আওয়ামী লীগ
মোঃ শরিফুল ইসলাম
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
অতীতের অপরাধে অভিযুক্ত নেতারা বহাল তবিয়তে, আইনের শাসন বাস্তবায়নে প্রশ্ন
২০২৪ ইং সালের ৫ আগস্ট ছাত্র জনতা আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পলায়নের পর, যখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে গিয়েছিল, তখন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় দলীয় দুঃশাসনের অভিযোগে অভিযুক্ত কিছু নেতার প্রভাব কিন্তু কমেনি। সময়ের বিবর্তনে নানা কৌশলে তারা আবারও রাজনৈতিক মাঠেসক্রিয় হয়ে উঠেন, দল পুনর্গঠনের আড়ালে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখাই যেন তাদের মূল লক্ষ্য।
দেয়ালচিত্র কর্মসূচিতে পুরনো বিতর্কিত নেতারা
সম্প্রতি গোয়ালমারী ইউনিয়নের নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজির সরদার ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত যুবলীগ সভাপতি সন্ত্রাসী সৈনিক শাহআলম, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ নেতা র্ইউপি চেয়ারম্যান মান্নানের নেতৃত্বে "জয় বাংলা" দেয়ালচিত্র কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়। গোয়ালমারী বাজার থেকে শুরু করে পদুয়া ইউনিয়নের শ্রী রায়ের চর পর্যন্ত লিখে।
তবে এসব নেতাদের বিরুদ্ধে অতীতে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান,১/১১/২০০৭ ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী সময়ে তৎকালীন গোয়ালমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহাম্মদ হোসেন তালুকদার এরগ্রামের বাড়ি দৌলতের কান্দিতে দুইটি মাছের খামারে দুর্বৃত্তরা বিষ ঢেলে প্রায় কয়েক কোটি টাকার মাছ মেরে ফেলে। তাতে আহম্মদ হোসেন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে, কোন উপায় না পেয়ে আহাম্মদ হোসেন তালুকদার।
বাদী : হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি মামলা আবেদন করেছিলেন , কিন্তু দুঃখের বিষয় তৎকালীন দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোশআহমেদ মামলাটি আমলে না নিয়ে ,বিএনপির স্থায়ী সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আহামদ হোসেন তালুকদার এর পরিবারের ভাই, ভাগিনা গোয়ালমারী ইউনিয়ন বিএনপি' ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ৭০/৮০ জনের বিরুদ্ধে ১০-১২টি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করেন। এ মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে অনেক নেতা কর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন। স্থানীয় জনগণের দাবি অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান।
দৌলতপুর ইউনিয়নের দুর্নীতির একই চিত্র
দৌলতপুর ইউনিয়নেও এ-ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সাবেক চেয়ারম্যান মঈন চৌধুরীর পলায়নের পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে থাকা আবদুস সালাম, ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মানিক ও জালালের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। তারা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ফসলি ও সরকারি খাস জমির মাটি বেকু দিয়ে কেটে বিক্রি করেন। স্থানীয় জনগণের দাবি তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান।