মোঃ শরিফুল ইসলাম, দাউদকান্দি
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ড. খন্দকার মারুফ হোসেন বলেছেন, “সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের বিতর্কিত রায়ের মাধ্যমেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছিল। আজ সময় এসেছে তার সেই বেআইনি সিদ্ধান্তের জন্য যথাযথ বিচার দাবি করার।”
ড. মারুফ হোসেন আরও বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে এবিএম খায়রুল হক জাতির সঙ্গে এক বড় ধোঁকা দিয়েছেন। তার রায়ের ফলেই দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ রুদ্ধ হয়েছে। ফলে জনগণ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে বছরের পর বছর।”
তিনি মনে করেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা আদায়ের উদ্দেশ্যে এমন একপেশে সিদ্ধান্ত দিয়ে বিচার বিভাগকে কলুষিত করা হয়েছে। এর ফলে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসন দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে।
ড. খন্দকার মারুফ বলেন, “এই সিদ্ধান্ত শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি ছিল গণতন্ত্রবিরোধী চক্রান্ত। আজ জনগণ প্রশ্ন করছে—এই বেআইনি রায়গুলোর দায়ভার কে নেবে?”
তিনি আরও যোগ করেন, “আশা করি একদিন এই জাতি সব বেআইনি রায় ও ইতিহাস বিকৃতির জবাব আইনের কাঠগড়ায় দেবে। এবিএম খায়রুল হকের বিচার একটি দৃষ্টান্ত তৈরি করবে, যেন ভবিষ্যতে কেউ আর জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার সাহস না পায়।”