শেখ মামুনুর রশীদ মামুনঃ
ময়মনসিংহ নগরীর শম্ভুগঞ্জ গোলচক্কর এলাকায় আবারও মাদকের ভয়াবহ চিত্র ধরা পড়েছে। অদ্য (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় ক সার্কেলের একটি অভিযানিক দল কোতোয়ালি মডেল থানাধীন সার গোডাউনের সামনে ফাঁকা স্থানে অভিযান চালিয়ে আব্দুল খালেক ও মো. দুলাল মিয়া নামে দুই মাদকসেবীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে।
অভিযান চলাকালে তাদের কাছ থেকে দুই লিটার চুলাইমদ উদ্ধার হয়। অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে মাদক সেবন করে এলাকায় বিরক্তিকর আচরণ করছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন এবং সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ তামান্না হুরায়রার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। আদালত প্রত্যেক আসামিকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। পরে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সচেতন মহলের মতে, মাদকবিরোধী এ ধরনের অভিযান প্রশংসনীয় হলেও প্রকাশ্য স্থানে অবাধে চুলাইমদ বিক্রি ও সেবন সমাজের জন্য অশনি সংকেত। নগরীর প্রবেশদ্বার শম্ভুগঞ্জের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের এমন বিস্তার প্রমাণ করে, এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে মাদকচক্র। তারা মনে করেন,মাদকবিরোধী আইনি পদক্ষেপ আরও কঠোর না হলে পুরো প্রজন্ম ধ্বংসের মুখে পড়বে। স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন—প্রতিদিনই ছোটখাটো মাদকসেবীদের ধরা হলেও মাদক ব্যবসায়ীরা রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এভাবে যদি মূল হোতাদের গ্রেপ্তার না করা হয়, তবে মাদকের ভয়াবহতা দিন দিন আরও বেড়ে যাবে। সরকারি নীতি নির্ধারকদের প্রতি দাবি উঠেছে—অভিযান শুধু সেবনকারীদের বিরুদ্ধে নয়, বরং সরবরাহকারী ও মূল সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় সরকারের সব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব হবে না।