মো. শরিফুল ইসলাম, দাউদকান্দি:
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের কেতুন্দী বুড়ীর ঘাট মোড়ে এক যুবতী সাদিয়া কর্তৃক বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে দৌলতপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন দৌলতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. হেলাল ইসাক।
প্রধান অতিথি ছিলেন দৌলতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সোলাইমান প্রধান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম. খালিদ হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম মাস্টার, সহ-সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন মাস্টার, ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম লাল, ওয়ার্ড মেম্বার মো. লিটন মিয়াজী, স্থানীয় প্রধান শিক্ষকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি কেতুন্দী এলাকার এক যুবতী সাদিয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করেছে।
ভিডিওতে দাবি করা হয়- বিএনপির কর্মীরা সাদিয়ার বাবাকে মারধর করেছে। তবে ভিডিওতে কারা এ ঘটনায় জড়িত তা স্পষ্ট নয়।
দৌলতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হেলাল ইসাক বলেন,
“যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে যে বিএনপির কেউ মারধরের সঙ্গে জড়িত, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, শনিবার বিকেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করছিলেন। এ সময় সাদিয়া ভিডিও ধারণ করে শেখ হাসিনার পক্ষে স্লোগান দেন এবং বিতরণে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে ইউপি সদস্য লিটন মিয়াজী ভিডিও মুছে ফেলতে বললে সাদিয়া আশ্বস্ত করেন যে তা ডিলিট করা হয়েছে। কিন্তু দুই ঘণ্টা পর ফেসবুকে ভুয়া অভিযোগ ছড়ানো হয়।
ইউপি সদস্য লিটন মিয়াজী বলেন,
“ফেসবুকে যে ভিডিও আপলোড হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সাদিয়া আওয়ামী পরিবারের সদস্য, বিএনপিকে হেয় করার জন্যই এ কাজ করেছে।”
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন,
“বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল, যারা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে কাজ করছে। ভিত্তিহীন প্রচারণা দিয়ে বিএনপির সুনাম ক্ষুণ্ণ করা যাবে না।”

