বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার গন্ডাবেড় এলাকায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে সরকারি নদী দখল, জেলে পরিবার উচ্ছেদ এবং সাংবাদিক নির্যাতনের ভয়াবহ অভিযোগ উঠেছে।ভুক্তভোগীরা বলছেন, একটি স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র ধর্মের ছত্র ছায়ায় নদীর দখল নিয়ে সরকার অনুমোদিত জেলেদের মাছ ধরার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। বাধা দিলে চালানো হচ্ছে হুমকি, মারধর ও জোরপূর্বক উচ্ছেদ। সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগও এসেছে। স্থানীয় এক সাংবাদিক যখন এসব ঘটনা তুলে ধরতে যান, তখন তার পরিবারের ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। অভিযোগ রয়েছে—ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো নির্যাতিত পরিবারকেই সরিয়ে দিয়েছে। গন্ডাবেড়ের নির্যাতিত জনগণ এখন কেন্দ্রীয় সরকারের এবং সেনাবাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তারা বলছেন—আইনের শাসন গন্ডাবেড়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে, প্রশাসনের নিরবতার সুযোগে অপরাধীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
ভুক্তভোগী জেলেরা তাদের ৪ দফা দাবিতে বলেন: “সরকারি নদী প্রকৃত জেলেদের হাতে ফেরত দিতে হবে”। “কথিত ধর্মীয় চক্রের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে”
“প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় কর্মকর্তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে” “সাংবাদিক নির্যাতনের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে “। —এ বিষয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জিয়া আহমেদ সুমন এ প্রতিনিধিকে বলেন, “বিধি অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”মানবাধিকার কর্মীদের মতে, এই ঘটনা গুলো কেবল একটি এলাকার সমস্যা নয়—এটি গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থার নৈতিক চ্যালেঞ্জ। এখনই সময় ন্যায়-বিচার ফিরিয়ে আনার। গন্ডাবেড়ের আকাশে ফিরে আসুক আইনের শাসন, ন্যায়ের আলো। সত্যের পক্ষে, মানবাধিকারের পক্ষে—দেশ-জুড়ে জেগে উঠুক প্রতিবাদের আগুন।