নিহারেন্দু চক্রবর্তী,নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ নাসিরনগর টু মাধবপুর সড়ক।নাসিরনগর কলেজমোড় হতে মাধবপুর পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার পথ জুড়ে এ সড়কটির অপর নাম চরম ভোগান্তি,দূর্ঘটনা আর মরনফাঁদ। খানাখন্দে ভরা এ সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
নাসিরনগরের বিগত সংসদ সদস্যদের মধ্যে প্রয়াত ছায়েদুল হক বহু আগে রাস্তার কিছু সংস্কার কাজ করেছিলেন। সেই সংস্কার করা রাস্তা ভেঙ্গে খান খান হয়ে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।বিগত ৭ বছরে দুই দফা টেন্ডার হয়েছে এমনটা শোনা গেলেও সেটা অনেকের কাছে শুভঙ্করের ফাঁকি।তবে সর্বশেষ সাংসদ একরামুজ্জামান এর সময়কালে টেন্ডার সম্পন্ন হওয়ার পরবর্তী সময়ে রাস্তার দুই ধারে গাছ কর্তন ও রাস্তার সামান্য কিছু কাজ শুরু হয়।
মাঝখানে কিছু সময় বিরতির পর আবারো কাজ শুরু হয়েছে।এ পর্যন্ত নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের ফুলপুর পর্যন্ত রাস্তা পাকা করা হয়েছে।আপাতত নাসিরনগর সদর হতে ৯ কিলোমিটার রাস্তা পূর্বভাগের ভূবন পর্যন্ত পাকাকরন করা হবে।
এ বিষয়ে গত ০৪/০৫/২০২৫ ইং তারিখে নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের তরুন, শিক্ষক, ছাত্রদের একটি প্রতিনিধি টিম নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর সাক্ষাত করেন ও দ্রুত রাস্তা নির্মাণ করে জনদূর্ভোগ লাঘব করতে লিখিত আবেদন করেন।
আবেদনকারীরা হলেন, মো. আরিফুর রহমান পিয়াস,এনায়েতউল্লাহ নোমানী,হামিদুর রহমান, আবুল কাশেম, অপু বিশ্বাস ও জুনাঈদ মিয়া।
তারা লিখিত ও মৌখিকভাবে ইউএনওকে নাসিরনগর টু মাধবপুর সড়কের বেহাল দশা ও জনদূর্ভোগ সম্পর্কে অবগত করেন। বিশেষ করে তারা জানান, নরহা থেকে হরিণবেড় পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা অত্যান্ত নাজুক, রাস্তায় বড় বড় গর্ত ও ভাঙন, রাস্তাটি বিপদজনক ও ঝুকিপূর্ণ।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা নাছরিন নবীন ও তরুনদের বলেন, রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি পুণঃ নির্মাণ করার ব্যাপারে তিনি এলাকাবাসিকে আশ্বস্ত করেন।